ডিজেল ও রান্নার গ্যাস মহার্ঘ হওয়া এবং খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রতিবাদ হিসাবে বাম ও বিজেপি বন্ধ ঘোষণা করে। জলপাইগুড়িতে তার প্রভাব পরতে বাধ্য। এবারের সাধারণ ধর্মঘট সর্বাত্মক ভাবে সফল বলা কঠিন। ৯০% সফল বলা যেতে পারে। সরকারের পক্ষে নোটিশ জারি করেও সমস্ত কর্মী দের উপস্থিতি ছিলনা। রাস্তায় যানবাহন ছিল, ব্যক্তিগত এবং খুব অল্প পাবলিক বাস, ট্রেন। কোথাও একটা বড় ধরনের সামাজিক ব্যাবহারের চেনা ছকের বাইরে আরেকটা কর্মনাশা সাধারণ ধর্মঘট। বন্ধের কাড়নে ক্ষতির মাপকাঠি গুলোকে সরকারের পক্ষে প্রচার করা হয়েছে, গণমাধ্যমের দৌলতে সবার জানা। এটাও কর্মনাশার প্রভার সবচেয়ে বেশী জাদের উপরে পরে, সেই 'দিন আনি দিন খাই' শ্রেণীর সচেতনতা আগেই ছিল। বেতন বিলাসী মধ্যবিত্তের যা কোনোদিনও ছিলনা। সরকারি পরিবর্তনের প্রাথমিক ধাক্কাটা লেগেছিল তাদের - ছুটির ধর্মঘটের দিন গুলি ছিনিয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুযোগ পেয়েছিলো মাটির মানুষেরা। ব্যাপারটা একটা সামাজিক শক থেরাপির মতন কাজ করেছে। কিছুটা হলেও নতুন করে চিন্তা করতে শিখেছে বাংলার মানুষ ধর্মঘটের গভীরতা। বাম আমলের শেষের দশকে এমনটা ছিলনা। বন্ধগুলো সব ছুটি হয়ে যেত। এবারের সাধারণ ধর্মঘট একটু অন্য রকম মনে হয়েছে আমার।
বেতন কাটা যেতেই পারে জেনেও অনেক সরকারি কর্মীরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। কার কাছে উপায় ছিলনা কাজে যাওয়ার এমন ছবি অন্তত পক্ষে আমাদের শহরে ছিলনা। অনেকেই যারা কাজ ভালোবাসেন কাজে গেছেন, যাদের জরুরি কাজ ছিলও তারাও কাজ করেছেন। এমন অনেক মানুষ ছিলেন কর্মক্ষেত্রে যারা অফিসে ফাইল জমান, কমন রুমে পিএনপিসি আর খবরের কাগজে ব্যস্ত থাকেন। কিছু দোকান খোলা ছিলও বিচ্ছিন্ন প্রয়োজনে। পিকেটিং ছিলনা কোনও রকম। অনেক দিনের পরে সমাজের একটা চেতন রূপ প্রকট হয়ে ধরা পরেছে এই ধর্মঘটে।
বেতন কাটা যেতেই পারে জেনেও অনেক সরকারি কর্মীরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। কার কাছে উপায় ছিলনা কাজে যাওয়ার এমন ছবি অন্তত পক্ষে আমাদের শহরে ছিলনা। অনেকেই যারা কাজ ভালোবাসেন কাজে গেছেন, যাদের জরুরি কাজ ছিলও তারাও কাজ করেছেন। এমন অনেক মানুষ ছিলেন কর্মক্ষেত্রে যারা অফিসে ফাইল জমান, কমন রুমে পিএনপিসি আর খবরের কাগজে ব্যস্ত থাকেন। কিছু দোকান খোলা ছিলও বিচ্ছিন্ন প্রয়োজনে। পিকেটিং ছিলনা কোনও রকম। অনেক দিনের পরে সমাজের একটা চেতন রূপ প্রকট হয়ে ধরা পরেছে এই ধর্মঘটে।