জলপাইগুড়ি, ১২ই নভেম্বরঃ- বন্যপ্রানী সংরক্ষনে রেলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন আমাদের রাজ্যের দুই মন্ত্রী। জলপাইগুড়ি জেলার মাদারি হাট, বানার হাট সংলগ্ন ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে রেল পথ গিয়েছে। গতকাল মাদারি হাটেই বন্যপ্রানী সপ্তাহ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন বনমন্ত্রী এবং অনগ্রসর কল্যান দপ্তরের মন্ত্রী। তারা অভিযোগ তোলেন রেলের বিরুদ্ধে এবং আন্দোলনের ডাক দেন কারন, রেলপথ মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে উন্নতি হওয়ায় বহু মালগাড়ি এবং যাত্রীবাহী গাড়ি এই জঙ্গলের ভিতর দিয়ে চলাচল করে। মন্ত্রীরা বলেন তাদের শাষনকালে বন্যপ্রানীর সংখ্যা বেড়েছে পাশাপাশি বনভূমিরও সম্প্রসারন হয়েছে। এবছর বেপরওয়া ট্রেন চলাচলের ফলে একসাথে সাতটি হাতি মারা যায়। এবং গত চার বছরে মোট চব্বিশটি হাতি মারা যায়। এরকম বেপরওয়া ট্রেন চলাচল করলে ডুয়ার্সের জঙ্গল একসময় বন্যপ্রানী শুন্য জঙ্গল হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য তারা রেল দপতরের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। গত সেপ্টেম্বরে মালগাড়ির ধাক্কায় একসাথে সাতটি হাতি মারা যাওয়ায় কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেষ মন্ত্রী ছুটে এসেছিলেন। তিনি আশ্বাস দেন, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ট্রেনের গতিবেগ কমানো এবং কিভাবে পরিস্থিতির উন্নতি করা যায় তার রাস্তা বের করবেন। রাজ্যের মন্ত্রীদের অভিযোগ তারা কথা দিয়ে কথা রাখেননি। তাই বন্যপ্রানী সপ্তাহ উপলক্ষে তাদের অনুষ্ঠান মঞ্চে মূল স্লোগান 'বন্যপ্রানী সংরক্ষনে রেলের বিরুদ্ধে আন্দোলন'
এদিকে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের কর্মীদের অভিযোগ ভিন্ন, তাদের মতে মানুষ জঙ্গল কেটে কিছুটা অর্থনৈতিক অভাবে বানিজ্যিক সফলতা পাওয়ায় জঙ্গলের পরিবেশ নষ্ট করেছে। আগের ঘনজঙ্গল এখন ফাঁকা হয়ে পড়েছে। আগে জঙ্গলে বিভিন্ন ফল যেমন, কাঁঠাল, আম, চালতা, কলা পাওয়া যেত। এখন না পাওয়াতে তারা জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে ঢুকে পরছে খাবারের সন্ধানে। যার জন্য লোকালয়ে হাতির উপদ্রপ বেড়ে গেছে। বনকর্তারা মঞ্চে বনরক্ষায় বিভিন্ন ভূমিকার জন্য কয়েকজনকে পুরষ্কৃত করেন, কিন্তু কর্মীরা বিভিন্ন পোষ্টারের মাধ্যমে ঠান্ডা বিরোধিতা জাজান। তাদের স্থায়ীকরন না করায়। রাজ্যমন্ত্রীরা তাই আবার বিভিন্ন পতিশ্রুতি দিয়ে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসেন।
এদিকে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের কর্মীদের অভিযোগ ভিন্ন, তাদের মতে মানুষ জঙ্গল কেটে কিছুটা অর্থনৈতিক অভাবে বানিজ্যিক সফলতা পাওয়ায় জঙ্গলের পরিবেশ নষ্ট করেছে। আগের ঘনজঙ্গল এখন ফাঁকা হয়ে পড়েছে। আগে জঙ্গলে বিভিন্ন ফল যেমন, কাঁঠাল, আম, চালতা, কলা পাওয়া যেত। এখন না পাওয়াতে তারা জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে ঢুকে পরছে খাবারের সন্ধানে। যার জন্য লোকালয়ে হাতির উপদ্রপ বেড়ে গেছে। বনকর্তারা মঞ্চে বনরক্ষায় বিভিন্ন ভূমিকার জন্য কয়েকজনকে পুরষ্কৃত করেন, কিন্তু কর্মীরা বিভিন্ন পোষ্টারের মাধ্যমে ঠান্ডা বিরোধিতা জাজান। তাদের স্থায়ীকরন না করায়। রাজ্যমন্ত্রীরা তাই আবার বিভিন্ন পতিশ্রুতি দিয়ে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসেন।